ISLAM লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
ISLAM লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

বৃহস্পতিবার, ২৬ এপ্রিল, ২০১২

0 কুরআনে শব্দ খোঁজার জন্য ব্যবহার করুন “জিকর” নামে অসাধরণ সফটওয়্যার।

রবন্ধটি পড়া হলে, শেয়ার করতে ভুলবেন না


কুরআনে কোন কথাটি রয়েছে, কোনটি নেই, কোন আয়াত কত নং সূরার, তা একজন কুরআন বিশ্লেষক মুমীনের জানা খুব জরুরী। আজ আপনাদের পরিচয় করিয়ে দেব “জিকর” নামের একটি সফটওয়্যারের সাথে যেটি নিমিষেই জানিয়ে দেবে আপনার কাঙ্খিত শব্দটি। সফটওয়্যারটিতে বাংলায় সার্চ করার সুযোগ রয়েছে।

টিউটোরিয়াল

১. প্রথমে এই লিংক থেকে ৭.৭ মেগাবাইটের সফটওয়্যারটি ডাউনলোড করে ইন্সটল করে নিন। (এটি একটি ফ্রিওয়্যার তাই সিরিয়ালের দরকার নেই)
২. এই লিংক এ ক্লিক করে বাংলা অনুবাদের ফাইলটি (muhiuddinkhan.trans.zip) সরাসরি ডাউনলোড করুন। তর্জমাটি মাওলানা মুহিউদ্দীন খানের করা, যিনি মারেফুল কোরআন (বাদশাহ-ফাহাদের পৃষ্ঠপোষকতায় সৌদি সরকার কর্তৃক হাজীদের সরবরাহকৃত বিখ্যাত তাফসির) এর অনুবাদক।
কেউ অন্য ভাষার তর্জমা চাইলে এখানে ক্লিক করে ডাউনলোড করে নিন।
৩. আপনার পিসিতে সোলায়মান লিপি বা যেকোন ইউনিকোড বাংলা ফন্ট ইন্সটল থাকতে হবে। না থাকলে এখান থেকে ডাউনলোড করে নিন।  তারপর কন্ট্রোল প্যানেল থেকে ফন্ট ফোল্ডারে পেস্ট করুন।
[সফটওয়্যারটি চালাতে জাভা রানটাইম ইনভায়রমেন্ট দরকার, যদি পিসিতে না থেকে থাকে তবে এখান থেকে জাভা ডাউনলোড করে ইন্সটল করে নিন]
৪. এবার সফটওয়্যারটি চালু করে নিচের স্ক্রিণশট অনুসরণ করুন। প্রথমে Tools>Add>Translation এ ক্লিক করুন।

৫. বাংলা অনুবাদের muhiuddinkhan.trans.zip ফাইলটি হার্ডডিস্ক থেকে সিলেক্ট করে Open এ ক্লিক করুন।


৭. কনর্ফামেশন মেসেজ আসবে OK করুন।

৮. এবার View > Translation > [bn] মাওলানা মুহিউদ্দীন খান এ ক্লিক করুন। বাংলা আসবে।

পর্দায় যে বাংলা দেখা যাচ্ছে তা ক্রিস্টাল ক্লিয়ার নয়। আমরা এখন সোলায়মান লিপি ফন্ট সিলেক্ট করবো যাতে ঝকঝকে বাংলা পেতে পারি। এজন্য-
৯. Tools থেকে Options এ ক্লিক করুন। এখান থেকে View এ ক্লিক করুন, নিচের স্ক্রিণশটের মত পাবেন-

১০. trans_bn_fontName এর ঘরে ‍SolaimanLipi টাইপ করুন, তারপর একটি কমা (,) দিন যেমন স্ক্রিণশটে দেখানো হয়েছে। Apply করে OK করুন। পেয়ে গেলেন ক্রিস্টাল বাংলা!

সার্চ করার কৌশল

ধরুন আপনি কোরআন শরীফের “তওবা” শব্দটি কোথায় আছে জানতে চাইছেন। তাহলে বামদিকের ‍Search বা Advanced বক্স থেকে বাংলায় টাইপ করুন তওবা তারপর Search বাটনে ক্লিক করুন।

দেখুন তওবা সম্পর্কিত সকল তথ্য এসে গেছে আয়াত নং সহ!

কেউ যদি অনলাইনে তেলাওয়াত শুনতে চান তবে-
Audio > Recitation থেকে ক্বারীর নাম সিলেক্ট করুন। (আপনার ইন্টারনেট সংযোগ কত গতির সে অনুসারে সিলেক্ট করে নেবনে)

যারা অফলাইনে শুনতে চান, তারা পুরো অডিও (Recitation) প্যাকেজটি ডাউনলোড করে নিন এখান থেকে।

Courtesy - Techtunes


*রিপোর্ট করুন


'আপনিও হোন ইসলামের প্রচারক'। প্রবন্ধটি পড়া হলে, নিচের লিংক থেকে Fac

0 আজ ভ্যালেনটাইন্স ডে- উপলক্ষ্যে আপনাদের জন্য এই ছোট্ট উপহার!!!!

ইসলামের দৃষ্টিতে বিশ্ব ভালবাসা দিবস (Valentine day) পর্ব ১


প্রবন্ধটি পড়া হলে, শেয়ার করতে ভুলবেন না

পর্ব ১পর্ব 2পর্ব ৩

লেখক: আ.স.ম শোয়াইব আহমাদ (পিএইচ.ডি)
সম্পাদনা: ড. আবু বকর মুহাম্মাদ যাকারিয়া

পর্ব ১- ইসলামিক ভালবাসাঃ
ভালবাসার পরিচয় :
‘ভালবাসা’ এক পবিত্র জিনিস যা আল্লাহ রাব্বুল আলামীন এর পক্ষ হতে আমরা পেয়েছি। ভালবাসা’ শব্দটি ইতিবাচক। আল্লাহ তা‘আলা সকল ইতিবাচক কর্ম-সম্পাদনকারীকে ভালবাসেন। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
وَلَا تُلْقُوا بِأَيْدِيكُمْ إِلَى التَّهْلُكَةِ وَأَحْسِنُوا إِنَّ اللَّهَ يُحِبُّ الْمُحْسِنِينَ
‘‘এবং স্বহস্তে নিজেদেরকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিয়ো না। তোমরা সৎকর্ম কর, নিশ্চয় আল্লাহ্‌ মুহসিনদের ভালবাসেন।’’(সূরা আল-বাকারা:১৯৫)
ভুলের পর ক্ষমা প্রার্থনা করা এবং পবিত্রতা অবলম্বন করা এ দুটিই ইতিবাচক কর্ম। তাই আল্লাহ তাওবাকারী ও পবিত্রতা অবলম্বনকারীদেরকেও ভালবাসেন। আল্লাহ বলেন,
إِنَّ اللَّهَ يُحِبُّ التَّوَّابِينَ وَيُحِبُّ الْمُتَطَهِّرِينَ
‘‘নিশ্চয়ই আল্লাহ্‌ তাওবাকারী ও পবিত্রতা অবলম্বনকারীদেরকে ভালবাসেন।’’(সূরা আল-বাকারা:২২২)
তাকওয়া সকল কল্যাণের মূল। তাই আল্লাহ মুত্তাকীদেরকে খুবই ভালবাসেন। তিনি বলেন,
فَإِنَّ اللَّهَ يُحِبُّ الْمُتَّقِين
‘‘আর নিশ্চয় আল্লাহ মুত্তাকীদেরকে ভালবাসেন।’’(সূরা আল ইমরান:৭৬)
পবিত্র এ ভালবাসার সাথে অপবিত্র ও নেতিবাচক কোন কিছুর সংমিশ্রণ হলে তা আর ভালবাসা থাকে না, পবিত্রও থাকে না; বরং তা হয়ে যায় ছলনা,শঠতা ও স্বার্থপরতা।
ভালবাসা, হৃদয়ে লুকিয়ে থাকা এক অদৃশ্য সুতোর টান। কোন দিন কাউকে না দেখেও যে ভালবাসা হয়; এবং ভালবাসার গভীর টানে রূহের গতির এক দিনের দূরত্ব পেরিয়েও যে দুই মুমিনের সাক্ষাত হতে পারে তা ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমার এক বর্ণনা থেকে আমরা পাই। তিনি বলেন,
النعم تكفر والرحم تقطع ولم نر مثل تقارب القلوب
‘‘কত নি‘আমতের না-শুকরি করা হয়, কত আত্মীয়তার বন্ধন ছিন্ন করা হয়, কিন্তু অন্তরসমূহের ঘনিষ্ঠতার মত (শক্তিশালী) কোন কিছু আমি কখনো দেখি নি।’’
(ইমাম বুখারী, আল-আদাবুল মুফরাদ :হাদীস নং২৬২)
ভালবাসার মানদণ্ড :
কাউকে ভালবাসা এবং কারো সাথে শত্রুতা রাখার মানদণ্ড হলো একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টি। শুধুমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্যই কাউকে ভালবাসতে হবে এবং শত্রুতাও যদি কারো সাথে রাখতে হয়, তাও আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্যই। এটাই শ্রেষ্ঠ কর্মপন্থা। রাসূলুল্লাহ () বলেন,
إِنَّ أَحَبَّ الْأَعْمَالِ إِلَى اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ الْحُبُّ فِي اللَّهِ وَالْبُغْضُ فِي اللَّهِ
‘‘নিশ্চয় আল্লাহর নিকট শ্রেষ্ঠ আমল হলো আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্যই কাউকে ভালবাসা এবং শুধুমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্যই কারো সাথে শত্রুতা রাখা।’’
(আহমদ, মুসনাদুল আনসার, হাদিস নং২০৩৪১)
ঈমানের পরিচয় দিতে হলে, কাউকে ভালবাসবার আগে আল্লাহর জন্য হৃদয়ের গভীরে সুদৃঢ় ভালবাসা রাখতে হবে। কিছু মানুষ এর ব্যতিক্রম করে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
وَمِنْ النَّاسِ مَنْ يَتَّخِذُ مِنْ دُونِ اللَّهِ أَندَادًا يُحِبُّونَهُمْ كَحُبِّ اللَّهِ وَالَّذِينَ آمَنُوا أَشَدُّ حُبًّا لِلَّهِ
‘‘আর মানুষের মধ্যে কেউ কেউ আল্লাহ্‌ ছাড়া অন্যকে আল্লাহ্‌র সমকক্ষরূপে গ্রহণ করে এবং আল্লাহকে ভালবাসার মত তাদেরকে ভালবাসে; কিন্তু যারা ঈমান এনেছে আল্লাহ্‌র প্রতি ভালবাসায় তারা সুদৃঢ়।’’
(সূরা আল-বাকারা:১৬৫)
শুধুমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্যই কাউকে ভালবাসতে হবে, নতুবা কোন ব্যক্তি ঈমানের স্বাদ পাবে না। রাসূলুল্লাহ () বলেন,
ثَلَاثٌ مَنْ كُنَّ فِيهِ وَجَدَ حَلَاوَةَ الْإِيمَانِ أَنْ يَكُونَ اللَّهُ وَرَسُولُهُ أَحَبَّ إِلَيْهِ مِمَّا سِوَاهُمَا وَأَنْ يُحِبَّ الْمَرْءَ لَا يُحِبُّهُ إِلَّا لِلَّهِ وَأَنْ يَكْرَهَ أَنْ يَعُودَ فِي الْكُفْرِ كَمَا يَكْرَهُ أَنْ يُقْذَفَ فِي النَّارِ
‘‘তিনটি গুণ যার মধ্যে থাকে সে ঈমানের স্বাদ পায়। ১. আল্লাহ ও তাঁর রাসূল তার কাছে অন্য সব কিছু থেকে প্রিয় হওয়া। ২. শুধুমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্যই কাউকে ভালবাসা। ৩. কুফুরীতে ফিরে যাওয়াকে আগুনে নিক্ষিপ্ত হওয়ার মত অপছন্দ করা।’’
(বুখারী, কিতাবুল ঈমান, হাদিস নং:১৫)
আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে ভালবাসার ফযীলত :
আল্লাহ রাব্বুল ইয্‌যতের মহত্ত্বের নিমিত্তে যারা পরস্পর ভালবাসার সম্পর্ক স্থাপন করে, কিয়ামতের দিন তাদেরকে তিনি তাঁর রহমতের ছায়ায় জায়গা দেবেন। রাসূলুল্লাহ () বলেন,
إِنَّ اللَّهَ يَقُولُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ أَيْنَ الْمُتَحَابُّونَ بِجَلَالِي الْيَوْمَ أُظِلُّهُمْ فِي ظِلِّي يَوْمَ لَا ظِلَّ إِلَّا ظِلِّي
‘‘কিয়ামতের দিন আল্লাহ বলবেন, আমার মহত্ত্বের নিমিত্তে পরস্পর ভালবাসার সম্পর্ক স্থাপনকারীরা কোথায় ? আজ আমি তাদেরকে আমার বিশেষ ছায়ায় ছায়া দান করব। আজ এমন দিন, যে দিন আমার ছায়া ব্যতীত অন্য কোন ছায়া নেই।’’
মুসলিম, কিতাবুল বিররি ওয়াস-সিলাহ, হাদিস নং৪৬৫৫)
রাসূলুল্লাহ () আরও বলেন,
إِنَّ مِنْ عِبَادِ اللَّهِ لَأُنَاسًا مَا هُمْ بِأَنْبِيَاءَ وَلَا شُهَدَاءَ يَغْبِطُهُمُ الْأَنْبِيَاءُ وَالشُّهَدَاءُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ بِمَكَانِهِمْ مِنَ اللَّهِ تَعَالَى قَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ تُخْبِرُنَا مَنْ هُمْ قَالَ هُمْ قَوْمٌ تَحَابُّوا بِرُوحِ اللَّهِ عَلَى غَيْرِ أَرْحَامٍ بَيْنَهُمْ وَلَا أَمْوَالٍ يَتَعَاطَوْنَهَا فَوَ اللَّهِ إِنَّ وُجُوهَهُمْ لَنُورٌ وَإِنَّهُمْ عَلَى نُورٍ لَا يَخَافُونَ إِذَا خَافَ النَّاسُ وَلَا يَحْزَنُونَ إِذَا حَزِنَ النَّاسُ..
‘‘নিশ্চয় আল্লাহর বান্দাদের মধ্যে এমন কিছু মানুষ আছে যারা নবীও নয় শহীদও নয়; কিয়ামতের দিন আল্লাহ তা‘আলার পক্ষ হতে তাঁদের সম্মানজনক অবস্থান দেখে নবী এবং শহীদগণও ঈর্ষান্বিত হবে। সাহাবিগণ বললেন, হে আল্লাহর রাসূল ! আমাদেরকে বলুন, তারা কারা ? তিনি বলেন, তারা ঐ সকল লোক, যারা শুধুমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্যই একে অপরকে ভালবাসে। অথচ তাদের মধ্যে কোন রক্ত সম্পর্কও নেই, এবং কোন অর্থনৈতিক লেন-দেনও নেই। আল্লাহর শপথ! নিশ্চয় তাঁদের চেহারা হবে নূরানি এবং তারা নূরের মধ্যে থাকবে। যে দিন মানুষ ভীত-সন্ত্রস্ত থাকবে,সে দিন তাঁদের কোন ভয় থাকবে না। এবং যে দিন মানুষ দুশ্চিন্তাগ্রস্ত থাকবে, সে দিন তাঁদের কোন চিন্তা থাকবে না..।’’
(সুনানু আবী দাঊদ, কিতাবুল বুয়ূ‘, হাদিস নং ৩০৬০)
পরস্পরের মধ্যে ভালবাসা বৃদ্ধি করার উপায় :
ইসলাম বলে, পরস্পরের মধ্যে ভালবাসা ও সৌহার্দ্য স্থাপিত না হলে পরিপূর্ণ ঈমানদার হওয়া যায় না, শান্তি ও নিরাপত্তা লাভ করা যায় না, এমনকি জান্নাতও লাভ করা যাবে না। তাই রাসূলুল্লাহ () মুমিনদের পরস্পরের মধ্যে ভালবাসা ও সৌহার্দ্য বৃদ্ধির জন্য একটি চমৎকার পন্থা বাতলে দিয়েছেন। তিনি বলেন,
لَا تَدْخُلُونَ الْجَنَّةَ حَتَّى تُؤْمِنُوا وَلَا تُؤْمِنُوا حَتَّى تَحَابُّوا أَوَلَا أَدُلُّكُمْ عَلَى شَيْءٍ إِذَا فَعَلْتُمُوهُ تَحَابَبْتُمْ أَفْشُوا السَّلَامَ بَيْنَكُمْ..*
‘‘তোমরা বেহেশতে প্রবেশ করতে পারবে না যতক্ষণ পর্যন্ত ঈমানদার না হবে, তোমরা ঈমানদার হতে পারবে না যতক্ষণ পর্যন্ত না পরস্পরের মধ্যে ভালবাসা ও সৌহার্দ্য স্থাপন করবে। আমি কি তোমাদেরকে এমন বিষয়ের কথা বলব না, যা করলে তোমাদের মধ্যে ভালবাসা ও সৌহার্দ্য প্রতিষ্ঠিত হবে ? সাহাবীগণ বললেন, নিশ্চয় ইয়া রাসূলাল্লাহ ! (তিনি বললেন) তোমাদের মধ্যে বহুল পরিমাণে সালামের প্রচলন কর।’’
(মুসলিম, কিতাবুল ঈমান, হাদিস নং ৮১)
 

We Are Here For Your help Copyright © 2011 - |- Template created by O Pregador - |- Powered by Blogger Templates